ছবিতে যে ভাঙা ব্রীজটি দেখতে পাচ্ছেন এটা কোনো সাধারণ ব্রীজ নয়, এটা হলো দুইটি গ্রাম, কলাপাড়া থানার চম্পাপুর ইউনিয়নের পাটুয়া ও মাছুয়াখালী, এই ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন গড়ে এক হাজারের মত মানুষ পারাপার করে। একসময় মানুষ মোটরসাইকেল , অটো ও মাহিন্দ্রা এসব যানবাহন নিয়ে এই ব্রীজ দিয়ে পার হতো। কিন্তু বর্তমানে শুধুমাত্র পায়ে হেটে ব্রীজটি পার হওয়া যায়। ব্রীজটি পারাপারের জন্য কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। এই ব্রীজ পার হতে গিয়ে বাচ্চা, বৃদ্ধা ও মহিলারা যেকোন সময়ে দুর্ঘটনার স্বীকার হতে পারে, ঘটতে পারে প্রাণনাশের মত ঘটনা।
এই ব্রীজ দিয়ে যোগাযোগের পথ হলো আমতলী,বড়গুনা, কুয়াকাটা ঢাকা হাইওয়ে রোড। এই ব্রীজটি বন্ধ হওয়ায় মানুষের অন্য পথ ঘুড়ে যেতে হয়। এতে সময় বেশি লাগে ও খরচ বেশি লাগে। এই ব্রীজকে কেন্দ্র করে এই ব্রীজের গোড়াতেই গড়ে উঠেছে এক বাজার। এই বাজারের দোকানের মালামাল পরিবহনের একমাত্র উপায় ছিল এই ব্রীজ। কিন্তু এই ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এখানকার ব্যবসায়ীদেরকে ভিন্নপথে দ্বিগুন সময় ও দ্বিগুন খরচ ব্যয় করে মালামাল পরিবহন করতে হচ্ছে। যে পথে তারা মালামাল পরিবহন করে এই পথটিও কাঁচা পথ, ফলে বর্ষার মৌসুমে তাদের ব্যবসাও অচল হয়ে পরে। পাটুয়া ও মাছুয়াখালী এই দুই গ্রামের প্রধান জীবিকা হলো কৃষিকাজ। তাদের উৎপাদিত কৃষি ,ধান ও ডাল জাতীয় পণ্য এই ব্রীজ দিয়েই নিকটস্থ বাজারে গিয়ে বিক্রি করতে হয়। ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় তাদের এই কৃষি পণ্য তারা এখন সহজে বাজারে নিয়ে যেতে পারছে না। এতে করে কৃষকরা পরিবহন ভোগান্তিসহ পণ্যের সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এই ব্রিজটি ২০১০ সালে পারাপারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ২০২০ সালে মাত্র দশ বছরের ব্যবধানে ব্রীজটির গা থেকে সিমেন্ট বালু খসে গিয়ে শুধু কঙ্কালটা দাড়িয়ে আছে। একটা ব্রীজ ১০ বছরও টিকতে না পারলে এই ব্রীজ বানানোর পেছনের ইন্জিনিয়ার ও ঠিকাদারদের নৈতিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন জাগে ।
কলাপাড়া উপজেলার এমপি মোঃ মহিবুর রহমান মহিম আপনাদের প্রতি জনগনের অনুরোধ ,চম্পাপুর ইউনিয়নের পাটুয়া ও মাছুয়াখালী এই দুই গ্রামের দুই লক্ষ মানুষের দৈনন্দিন ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে এই ব্রীজটি খুব দ্রুত মেরামত অথবা নতুন করে বানিয়ে দিতে সহায়তা করবেন। আপনাকে ভালোবেসে ও আপনাদের উপর আস্থা রেখেই এলাকার জনগণ আপনার কাছে ব্রীজটি মেরামত বা নতুন করে ব্রীজটি নির্মান করার জন্য আশাবাদী। ।আশা করি, আপনার জনগনের এই আস্থা ও ভালোবাসার সঠিক মূল্যায়ন করবেন।
0 Comments