বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) স্থানীয়দের সহায়তায় গজালিয়ার লড়ারহাট বাজারের ওই রাইস মিল থেকে সার উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তিতে যেসব কৃষকদের নামে বরাদ্ধ ছিল, তাদেরকে ডেকে সার বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
লড়ারহাট বাজারের সার বিক্রেতা মাসুদুল আলম বলেন, সকালে এসে দোকানের সামনে ৫ বস্তা সরকারি সার দেখতে পাই। পরে জানতে পারি নারী ইউপি সদস্য রিনা বেগমের স্বামী হায়বাত শেখ বিক্রি করার জন্য এই সার আমার দোকানের সামনে এনে রেখেছেন। সরকারি সার কিনব না বলে হায়বাতের রাইস মিলে পাঠিয়ে দিয়েছি।
রফিক নামের এক ব্যক্তি বলেন, হায়বাতের রাইস মিলে সার দেখে স্থানীয় লোকজন নিয়ে আমরা সবাইকে খবর দেই। পরে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি সাহা এসে সারগুলো নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে চলে যান। মূলত এই সার স্থানীয়ভাবে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন মেম্বার। কিন্তু লোকজনে জানাজানি হওয়ায় এখন যাদের সার তাদের দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে কৃষি কর্মকর্তারাও যুক্ত থাকতে পারেন।
নারী ইউপি সদস্য রিনা বেগম বলেন, কৃষকদের দেওয়ার জন্য কয়েকদিন আগে কৃষি অফিস থেকে সারগুলো আনা হয়েছিল, কিছু কৃষককে দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকার কারণে ৭ জন কৃষককে দিতে পারিনি। ভেবেছি পরে দিয়ে দেব। কৃষি কর্মকর্তা ও ও চেয়ারম্যান সাহেব বিষয়টি জানেন। তারাই আজকে সারগুলো কৃষকদের মাঝে বিতরণ করেছেন। কিন্তু কিছু লোক মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।
গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি সাহা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সামনে সারগুলো কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
কৃষকদের সার কেন নারী ইউপি সদস্যের বাড়িতে এমন প্রশ্নে, এটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে এড়িয়ে যান তিনি।
বাগেরহাটের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. মো. ফখরুল আহসান বলেন, সার জব্দের বিষয়টি জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
আর,এম
0 Comments